College History

কলেজের ইতিহাস:
পটভূমি ঃ ১৯৯৫ সালের ২১ জুলাই সাবেক গণপরিষদ সদস্য শেখ আলি আহম্মদের নেতৃত্বে স্থানীয় বিদ্যানুরাগীদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় ফকিরহাট মহিলা কলেজটি।  মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক  শেখ আলি আহম্মদ কতৃক কলেজের অনুকুলে  অত্যন্ত  মূল্যবান  জমিদান  কলেজের ইতিহাসে  একটি স্মরণীয় অবদান হিসেবে চিরকাল সমাদৃত হবে। সমসাময়িক  আর্থসামাজিক বাস্তবতায়  নারী শিক্ষার উপযোগী পৃথক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য সমাজ মানসে প্রস্তুত আকাঙ্খার পটভূমিতে  কলেজটির প্রতিষ্ঠা যে সময়োপযোগী  ও বিচক্ষণ উদ্যোগ ছিল, তা প্রমান করতে বেশী সময় লাগেনি। বিদ্যামান প্রেক্ষিত ও চাহিদার সর্বোচ্চ  সদ্ব্যবহার করতে অগ্রনী ভূমিকা রেখে চলেন নিযুক্ত  শিক্ষকগণ ।  একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, প্রান্তবর্তী    জনগোষ্ঠীর নারী শিক্ষাবিস্তারে কলেজটি  এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে চলেছে। সন্নিহিত জনপদের নারী শিক্ষার্থীদের বিনাবেতনে শিক্ষা সেবা প্রদান করে চলেছে। 

অবস্থান ঃ  কলেজটি ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন  রূপসা বাগেরহাট মহাসড়কের পাশে সবুজ গাছপালা বেষ্টিত  দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে ৪.২৬ একর জমির উপর  এক গৌরবজ্বল ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে  দাড়িয়ে আছে।  

নামকরণ ঃ প্রতিষ্ঠা লগ্নে কলেজটির নাম ছিল ফকিরহাট মহিলা কলেজ। গত ইং ২৮ শে মে ২০২৫ সরকার জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যেমে কলেজটির নামকরণ ফকিরহাট সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজ করা হয়(Fakirhat Govt. Girl's Degree College) ।

যে ভাবে পথ চলা ঃ ১৯৯৫ সালে কলেজের যাত্রা শুরু। জন্মলগ্ন থেকেই পাবলিক পরীক্ষার ধারাবাহিক সাফল্য সকলের নজর কাড়ে। ক্রমান্নয়ে পাঠদানে আসে অভিনবত্ব ও সৃজনশীলতা । প্রশাসনিক ও একাডেমিক ক্ষেত্রে আসে সচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ও দায়বদ্ধতা । দূণীতির বিরুদ্ধে অবস্থান বিভিন্ন জাতীয় দিবসে দেশপ্রেম উদ্দীপক অনুষ্ঠানমালা প্রগতিশীল মননশীলতা বিনির্মাণে সভা সেমিনার বিতর্ক অনুষ্ঠান কলেজটিকে অত্র অঞ্চলে প্রচারের পাদপ্রদীপে নিয়ে আসে। 

অধিভূক্তি ঃ  কলেজটি ১৯৯৭ সালে যশোর বোর্ড কতৃক উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ১৯৯৮ সালে কারিগরি বোর্ড কতৃক  বি,এম পর্যায়ে ১৯৯৮ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক  স্নাতক (পাস) পর্যায়ে এবং ২০০৮ সালে  জাতীয়  বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক স্নাতক (সম্মান)পর্যায়ে  অধিভূক্তি লাভ করে। 

জাতীয় করণ ঃ দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ সরকারিকরণের লক্ষে  ১৬ নভেম্বর ২০১৪ সালে  ডিগ্রি  মহাবিদ্যালয়টিকে  সরকারি করণের লক্ষে কার্যকর ব্যবস্থা  গ্রহণ করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে সকল প্রক্রিয়া  সম্পন্ন করে ৮ আগষ্ট  ২০১৮  তারিখ  জি, ও জারির মাধ্যমে কলেজটি জাতীয় করণের অন্তর্ভূক্ত হয়।  কলেজের সার্বিক  উন্নয়ন ও পরিচালনায়  বিভিন্ন  পর্যায়ে  প্রজাতন্ত্রের   মন্ত্রী, কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধি  ও সমাজসেবীগণ ঐতিহাসিক অবদান রেখেছেন ; এই কলেজ চিরদিন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে।